
ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসে ধরতে তাড়াহুড়ো করছি এমনসময় আমার পথ আগলে একজন এসে বললেন, ভাই আপনি শিপন ভাই না!
আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে৷ তাই পথে বাধার কারনে বিরক্ত হয়ে বললাম, হ্যাঁ ভাই। একটু তাড়া আছে পরে কথা হবে।
সে অসহায়ভাবে তাকিয়ে বলল, ভাই একটা মিনিট সময় দিন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বললাম, একটু তাড়াতাড়ি বলেন!
ভাইটি বুঝতে পারছে আমার তাড়া আছে তাই বনিতা না করে ভূমিকা ছাড়াই বলতে শুরু করলো, ভাই আমি প্লাস্টারের কাজ জানি গত এক মাস আগে আমার একটা কোম্পানিতে আইপিএ হয়।কথা ছিলো সব মিলিয়ে এজেন্সি ফি ১৫০০ ডলার৷
কিন্তু ম্যানপাওয়ার করার পর বলে, শুধু এজেন্সি ফি ১৫০০ ডলার।আমার নিজের টাকায় বিএমইটি ও টিকেট কিনতে হবে।
কি আর করার নিজের টাকায় বিএমইটি করলাম, টিকেট কিনলাম ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে৷ আমার ফ্লাইটের আগেরদিন সব ডকুমেন্টস বুঝিয়ে দেয়৷
কিন্তু আশ্চর্যজনক হলো, সিঙ্গাপুর পৌঁছে দেখি আইপিএ ক্যান্সেল। সে কত বড় শেয়ান আমি বিমানে উঠার পর আইপিএ ক্যান্সেল করেছে
তাকিয়ে দেখি তার চোখ দুটি ছলছল করছে। আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম, সে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, এয়ারপোর্টে আমাকে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রেখে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে আরেকটা টিকেট কিনে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
ওই প্র”তা”র:ককে হাজার কল করে পাইনি। এরপর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। ভাই আমার ৩ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গেলো। অথচ যে টাকা নিলো তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। সে বউ পোলাপাইন নিয়ে সুখে আছে আর আমি টাকার শোকে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি
তার কথাশুনে কতটা যে খারাপ লাগছে লিখে বুঝাতে পারবো না। তাকে বললাম আমার মোবাইল নাম্বার রাখেন ওই প্র”তার’ককে নিয়ে পেইজে লাইভ করবো। আপনি সমস্ত প্রমান আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিবেন।
বিদায় নেওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলাম, ভাই আপনার নাম কি? এবার তিনি ভরসা পেয়ে একটু আশ্বস্ত হয়ে বলল, ভাই আমার নাম জীবন কুমার শীল। আর প্রতারকের নাম ও ছবি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিবো।